পেসমেকার: চিকিৎসা, পদ্ধতি, খরচ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

পেসমেকার: চিকিৎসা, পদ্ধতি, খরচ এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

Cardiology |by Dr. Anil Mishra| Published on 09/05/2023

Table of Contents
  1. পেসমেকার
  2. আসুন জেনে নেওয়া যাক পেসমেকার আসলে কি?
  3. কোন ক্ষেত্রে পেসমেকার ব্যবহার করা হয়?
  4. চলুন এবার পেসমেকার মেশিন সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা তৈরি করি
  5. কত ধরণের পেসমেকার হতে পারে?
  6. কি কি শারীরিক সমস্যা দেখে গেলে আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন?
  7. পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কি কি টেস্ট করা প্রয়োজন? 
  8. পেসমেকার বসানোর আগে যা যা করা প্রয়োজন 
  9. পেসমেকার প্রতিস্থাপনের ধাপ 
  10. পেসমেকার প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি আছে কি? 
  11. পেসমেকার বসানোর খরচ
    1. পেসমেকার ব্যাটারি প্রতিস্থাপন পদ্ধতি
  12. পেসমেকার প্রতিস্থাপনের পরবর্তী সতর্কতা
  13. বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা
    1. প্রঃ কি কি ক্ষেত্রে পেসমেকার খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?
    2. প্রঃ একটি পেসমেকার কতদিন চলতে পারে?
    3. প্রঃ পেসমেকার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?

পেসমেকার

জন্ম থকে মৃত্যু পর্যন্ত আমাদের হৃদপিন্ড তালে তালে সংকুচিত এবং প্রসারিত হয়ে আমাদের সারা শরীরে রক্ত সরবরাহ করে চলে। হৃদপিন্ডের এই সংকোচন এবং প্রসারণের জন্য প্রয়োজন তড়িৎ বা ইলেক্ট্রিসিটি। প্রাকৃতিক ভাবে হৃৎপিন্ডের মধ্যে বর্তমান বিভিন্ন নোডগুলি (এস এ নোড, এ ভি নোড ইত্যাদি) এই তড়িৎ স্পন্দন বা ইলেকট্রিক ইমপালস উৎপন্ন করে। যখন কোনো কারণে এই নোডগুলি ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না তখন কৃত্রিম পেসমেকারের প্রয়োজন পরে। আজ আমরা এই নিবন্ধে কৃত্রিম পেসমেকার নিয়েই আলোচনা করবো।

আসুন জেনে নেওয়া যাক পেসমেকার আসলে কি?

পেসমেকার হল একটি ক্ষুদ্র ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস যা কার্ডিয়াক অ্যারিদমিয়া (হৃদযন্ত্রের ছন্দের সমস্যা) দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এই ছোট্ট যন্ত্রটি বুকে বা পেটের উপরের দিকে, কখনো কখনো কলার বোনের নিচে স্থাপন করা হয়। যা ইলেকট্রিক্যাল ইমপালস উৎপন্ন করে এবং ইলেকট্রোডের মাধ্যমে সেই ইম্পালস্ হৃদপিন্ডের পেশীতে পৌঁছায়। এতে হৃদস্পন্দন সঠিক হারে বজায় থাকে।

কোন ক্ষেত্রে পেসমেকার ব্যবহার করা হয়?

দুই ধরনের অ্যারিদমিয়ার চিকিৎসার জন্য পেসমেকার ব্যাবহার করা হয় - 

  • ট্যাকিকার্ডিয়া : যখন হৃদস্পন্দনের হার দ্রুত হয়ে যায় সেই অবস্থাকে ট্যাকিকার্ডিয়া বলে।
  • ব্রাডিকার্ডিয়া : যখন হৃদস্পন্দনের হার শ্লথ হয়ে যায় সেই অবস্থাকে ব্রাডিকার্ডিয়া বলে।

চলুন এবার পেসমেকার মেশিন সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা তৈরি করি

পেসমেকার মেশিন হল একটি ছোট ব্যাটারি অপারেটেড ডিভাইস যা আমাদের হৃদস্পন্দনের হার অনুভব করে বুঝতে পারে যে সেটি প্রয়োজনের থেকে ধীরে নাকি দ্রুত চলছে। সেই অনুযায়ী পেসমেকার সঠিক গতিতে হৃদস্পন্দনের হারকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। বর্তমানে আধুনিক এই মেশিনগুলির ওজন সাধারনত 1 আউন্স বা 28 গ্রামের মত হয়। বেশিরভাগ মেশিনের দুটি অংশ থাকে।

  • প্রথম অংশটি হল, ব্যাটারি-সম্বলিত জেনারেটর যেটি হার্টবিট নিয়ন্ত্রণ করে।
  • দ্বিতীয় অংশটি হল, লিডস বা একটি সরু তার বিশেষ। এটি জেনারেটর এবং হৃদপেশির মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে। বৈদ্যুতিক ইমপালস্ হৃদপিন্ডে বহন করে নিয়ে যায়।

কত ধরণের পেসমেকার হতে পারে?

সাধারণত বেশ কয়েক ধরনের পেসমেকার দেখতে পাওয়া যায়।যার মধ্যে রয়েছে -

  • সিংগেল চেম্বার - এটি ডান অলিন্দ নতুবা ডান নিলয়ে ইলেকট্রিক ইমপালস জোগান দিতে পারে। এটিতে একটা মাত্র লিড থাকে।
  • ডুয়েল চেম্বার- এটি ডান অলিন্দ এবং ডান নিলয় - দুটিতেই ইলেকট্রিক ইমপালস জোগান দিতে পারে। দুটি প্রকোষ্ঠের সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করা জন্য এটাতে দুটো লিড থাকে। একটা লিড ডান অলিন্দে এবং অন্যটা ডান নিলয়ে যুক্ত থাকে।
  • বাইভেন্ট্রিকুলার পেসমেকার- যে সমস্ত ব্যাক্তিদের হার্ট ফেলিওর কিম্বা প্যাসিভ ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের সমস্যা হয়েছে তাদের এই ধরনের পেসমেকার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কার্ডিয়াক রিসিঙ্কোনাইজেশন প্রক্রিয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

কি কি শারীরিক সমস্যা দেখে গেলে আপনি ডাক্তারের কাছে যাবেন?

নিম্নলিখিত উপসর্গ দেখা দিলে আপনার অবিলম্বে একজন কার্ডিওলজি ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

  • শ্বাসকষ্ট
  • ক্লান্তি
  • কোনো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষতি
  • অ্যারিদমিয়া

পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কি কি টেস্ট করা প্রয়োজন? 

রোগীর শরীরে পেসমেকার বসাতে হবে কিনা সেটা জানার জন্য ডাক্তারবাবু, 

  • ই-সি-জি, 
  • হলটার’স মনিটরিং, 
  • ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং 
  • স্ট্রেস টেস্ট 

করার জন্য বলতে পারেন। টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রোগীর শরীরের পেসমেকার বসাতে হবে কিনা।

পেসমেকার বসানোর আগে যা যা করা প্রয়োজন 

পেসমেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলে করণীয় কাজগুলি হল :

  • ডাক্তারবাবুকে জানিয়ে দেওয়া যে রোগীর আয়োডিন, ল্যাটেক্স অ্যানেসথেসিয়া বা কোন ধরনের ওষুধে সমস্যা বা অ্যালার্জি আছে কিনা।
  • সার্জারি শুরু করার আগে রোগীকে বেশ কিছুটা সময় খালি পেটে থাকতে হয়। ডাক্তারবাবু জানিয়ে দেন কতক্ষন আগে থেকে রোগী কে উপোস করতে হবে।
  • রোগীর কি রক্তক্ষরণের সমস্যা আছে? অথবা তিনি অ্যাস্পিরিন বা রক্ত তরলকারী কোনো ওষুধ খান কি? ডাক্তারবাবুকে সেটা অবশ্যই জানাতে হবে। প্রয়োজনে ডাক্তারবাবু সেটা বন্ধ রাখতে বলতে পারেন। 
  • রোগীর যদি হার্টের ভালভ্ -এর সমস্য থাকে তাহলে ডাক্তারবাবু কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। 
  • অন্যান্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারবাবু সেই মত আরও কিছু নির্দেশ এবং পরীক্ষা করার কথা বলতে পারেন।

পেসমেকার প্রতিস্থাপনের ধাপ 

পেসমেকার বসানোর অপারেসানের ধাপ গুলি হল :

  • প্রথমেই রোগীর শরীর থেকে সমস্ত অলঙ্কার এবং অন্যান্য ধাতব বস্তু খুলে রাখতে হবে কারণ এগুলি সার্জারির সময় অসুবিধার সৃষ্টি করে।
  • মুত্রথলি ফাঁকা রাখার জন্য একাধিক বার প্রস্রাব করতে হতে পারে। 
  • বুকের চুল বা লোম শেভ করতে হতে পারে।
  • এরপর রোগীর হাতে একটি ইন্টারভেনাস লাইন (চ্যানেল) করা হয়। 
  • এই চ্যানেল দিয়ে সিডেটিভ ওষুধ দেওয়া হয় যাতে রোগী রিল্যাক্স থাকতে পারেন। 
  • বুকের যে স্থানে পেসমেকার বসানোর জন্য ছিদ্র করা হবে সেই স্থানে লোকাল অ্যানেসথেসিয়া (অবশ করা) দেওয়া হয়।
  • একটি সিদ্ বা ইন্ট্রোডিউসার ঐ ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। এটি একটি প্লাস্টিকের টিউব যার ভিতর দিয়ে লিডস্ গুলি রক্তবাহের মধ্য দিয়ে হৃদপিন্ডের দিকে যায়।
  • এবার রোগী কে ইসিজি বা ইকেজি মনিটরের আওতায় রাখা হয়। এতে রোগীর হার্ট-বিট, ব্লাড প্রেসার, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ ইত্যাদি লক্ষ্য রাখা যায়।
  • সিদ্ প্রবেশ করানোর সময় রোগী যাতে স্থির থাকে তার দিকে নজর রাখা হয়। নতুবা সিদ্ টি স্থানচ্যুত হতে পারে।
  • একবার লিডস্ গুলি হৃদপিন্ডে স্থাপিত হয়ে গেলে,পরীক্ষা করে দেখা হয় সেটা সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা এবং সঠিক জায়গায় বসেছে কিনা। 
  • একটি বিশেষ ধরনের এক্স-রে মনিটরের সাহায্যে লিডস্-এর অবস্থান এবং কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখা হয়। 
  • এইবার লিডগুলোকে জেনেরটরের সাথে যুক্ত করে একই ছিদ্র দিয়ে পেসমেকারের জেনারেটর অংশটি চামড়ার ভিতর প্রবেশ করানো হয়। সাধারনত এটাকে কলার বোনের নিচটাতে স্থাপিত করা হয়।
  • সাধারনত জেনারেটরটিকে নন-ডমিনেন্ট দিকে স্থাপন করা হয়। অর্থাৎ ডানহাতিদের ক্ষেত্রে বাম দিকে এবং বামহাতিদের ক্ষেত্রে ডানদিকে।
  • পেসমেকার (লিড এবং জেনারেটার) প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ হলে সমস্ত কিছু ঠিকঠক কাজ করছে কিনা সেটা ইসিজি-এর মাধ্যমে দেখে নেওয়া হয়।
  • সবশেষে ছিদ্রটিকে সেলাই করে দেওয়া হয় এবং একটি জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ বেঁধে দেওয়া হয়।

পেসমেকার বসানোর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হলে রোগী কে ও-টি (অপারেসান রুম) থেকে বেডে নিয়ে যাওয়া হয় এবং অব্জারভেশনে রাখা হয়। এই সময় যদি বুকে ব্যাথা হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে জানানো অবশ্যই জরুরী। রোগী সম্পূর্ণ সজাগ হয়ে উঠলে তাকে কিছু খেতে বা পান করতে দেওয়া হয়।

পেসমেকার প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে কিছু ঝুঁকি আছে কি? 

অন্য যেকোনও অস্ত্রপচারের মত এক্ষেত্রেও কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে :

  • ইনসেশন বা ক্যাথিটার ইন্সারটেশন (সার্জিকাল ছিদ্র) স্থান থেকে রক্তক্ষরণ।
  • সার্জিকাল ছিদ্রে সংক্রমণের সম্ভবনা হওয়া।
  • রক্তবাহ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
  • সার্জারি চলাকালীন কাছাকাছি অঞ্চলে ক্ষত (যেমন ফুসফুসের বাইরের আচ্ছাদনে ফুটো হয়ে যেতে পারে যা নিউমোথোরাক্স নামে পরিচিত)।

পেসমেকার বসানোর খরচ

ভারতে পেসমেকারের সরবনিম্ন দাম ৪০,০০০ টাকা আসপাসে। বসাতে খরচ হতে পারে গড়ে ৫০,০০০ টাকা। আনুষঙ্গিক সব খরচ মিলিয়ে মোটামুটি কমবেশি ১ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা মত খরচ পরতে পারে। অবশ্য স্থান বিশেষে এবং বেশ কিছু বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এর হেরফের হতে পারে।

পেসমেকার ব্যাটারি প্রতিস্থাপন পদ্ধতি

যেহেতু পেসমেকার ব্যাটারিতে চলে তাই অন্যান্য ব্যাটারি-চালিত ডিভাইস গুলোর মতই পেসমেকারের ব্যাটারির চার্জও একসময় ফুরিয়ে যায়। সাধারণত এর ব্যাটারিগুলো এমন ভাবে তৈরী যাতে সেগুলো দীর্ঘদিন চলে। দেখা গেছে মাত্র ১% যন্ত্রে অসময়ে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হয়। তবে সাধারণত পেসমেকার প্রতিস্থাপনের ১০ বছর পর একবার চেক করা দরকার।

পেসমেকারের ব্যাটারি পরিবর্তন, পেসমেকার বসানোর মত জটিল প্রক্রিয়া নয়। এক্ষেত্রে ডাক্তারবাবু লোকাল্ অ্যানেসথেসিয়ার মাধ্যমে যেখানে জেনেরেটরটি আছে সেখানটা অবশ করেন। তারপর ছিদ্র করে পালস জেনারেটার টিকে বের করে আনেন। এর আগে লিডস থেকে জেনেরেটরটিকে আলাদা করে নেওয়া হয়। নতুন ব্যাটারিযুক্ত পালস জেনারেটার আবার আগের স্থানে বসিয়ে লিডস্ গুলো নতুন জেনারেটারের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়। তারপর ছিদ্রটি কে যথাযথ পদ্ধতি তে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পেসমেকার প্রতিস্থাপনের পরবর্তী সতর্কতা

পেসমেকার প্রতিস্থাপনের পরবর্তী জীবনে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার, যেমন :

  • উচ্চমাত্রার চৌম্বকক্ষেত্র এড়িয়ে চলতে হবে (যেমন এম-আর-আই)। 
  • কিছু বিশেষ ধরনের পেসমেকার আছে, যে গুলি এম-আর-আই থেকে সুরক্ষিত। এইধরনের পেসমেকার প্রতিস্থাপন করলে ভবিষ্যতে এম-আর-আই করানোয় সমস্য থাকে না। 
  • ডায়াথারমি অর্থাৎ ফিজিওথেরাপির সময় মাংসপেশিতে তাপপ্রদান করা চলবে না।
  • ৩ ওয়াটের বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন মোবাইল ফোন ব্যবহার না করাই ভাল।

সবসময় আইডেন্টিটি কার্ড সঙ্গে রাখতে হবে যাতে বোঝা যায় শরীরে পেসমেকার আছে। বিশেষত বিমানবন্দরে, রেল স্টেশনে এক্স-রে বা মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির সময় (দুর্ঘটনায় ইমার্জেন্সি চিকিৎসার ক্ষেত্রে, এই তথ্য কাজে আসবে)।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নমালা

প্রঃ কি কি ক্ষেত্রে পেসমেকার খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

উচ্চচৌম্বক ক্ষেত্রের কাছে এলে পেসমেকার খারাপ হয়ে যেতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রা ও তড়িৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকলেও এটি খারাপ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই সেগুলো মাথায় রেখে চলতে হবে।

প্রঃ একটি পেসমেকার কতদিন চলতে পারে?

বেশিরভাগ পেসমেকারের ব্যাটারিগুলো ৭ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত চলে। এরপর ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করতে হয়।

প্রঃ পেসমেকার এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?

দেহে পেসমেকার বসানো হলে তার বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন -

  • যদি রোগী রক্ত-পাতলাকারক ওষুধ ব্যবহার করেন তাহলে যেখানে পেসমেকার বসানো হয়েছে সেখানটা ফুলে যেতে পারে, লাল হয়ে যেতে পারে, কখনো কখনো রক্তক্ষরণও হতে পারে।
  • পেসমেকারের স্থানটিতে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে।
  • ঐ স্থানটির কাছাকাছি অঞ্চলে রক্তবাহ বা নার্ভগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যেতে পারে।
  • সংক্রমণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।

তবে পেসমেকার প্রতিস্থাপনের পর ডাক্তারের পরামর্শ মত সাবধানতা মেনে চললে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন। কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।

Call BMB For Emergencies 08062136599

Available 24*7

Call BMB For Appointments 08062136585

Available 24*7

Map and Directions

Get Directions
NavBook Appt.WhatsappWhatsappNavPatient Login