‘অ্যাঞ্জিও’ কথার অর্থ হল রক্তবাহ এবং ‘প্লাস্টি’ শব্দটির অর্থ হল খুলে দেওয়া। অ্যানজিওপ্লাস্টি হল করোনারি হার্ট ডিজিজের একটি বহুল প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি। ধমনীর ভিতরের দিকে ‘প্লাক’ জমলে এই পদ্ধতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া ধমনী খুলে দেওয়া হয়। ‘প্লাক’ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের ফলে তৈরী হয়।
‘অ্যাঞ্জিও’ কথার অর্থ হল রক্তবাহ এবং ‘প্লাস্টি’ শব্দটির অর্থ হল খুলে দেওয়া। অ্যানজিওপ্লাস্টি হল করোনারি হার্ট ডিজিজের একটি বহুল প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি। ধমনীর ভিতরের দিকে ‘প্লাক’ জমলে এই পদ্ধতিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া ধমনী খুলে দেওয়া হয়। ‘প্লাক’ রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের ফলে তৈরী হয়। ধমনীর এই রকম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে মেডিকেলের ভাষায় বলে ‘অ্যার্থেরোস্কেলেরেসিস’।হার্ট অ্যাটাকের ফলে জমে যাওয়া প্লাকগুলো ভেঙে যায় এবং ধমনীর নানা অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। সেগুলোকে বেলুন সার্জারির সাহায্যে অপসারণ করা হয়।
অ্যানজিওপ্লাস্টি একটি মিনিমালি ইনভেসিভ পদ্ধতি। অর্থাৎ খুবই অল্প কাটা ছেঁড়া করার দরকার পরে। তবুও এটা এক ধরনের সার্জারি। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হয়।
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার সাধারণ স্টেপ গুলো হল -
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার জন্য সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে ক্ষেত্র বিশেষে (রোগের জটিলতা) এই সময় কিছুটা কম-বেশি লাগতে পারে।
যেকোনো ধরণের সার্জারির পর জ্বর একটি সাধারণ বিষয়। শরীরে অস্ত্রোপচার হয়ে যাওয়ার পর অর্ধেকের বেশি রোগীর দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তবে সাধারণত এই জ্বর খুব বেশি বিপজ্জনক হয় না। আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসিটোনামেন জাতীয় ওষুধ দিয়েই এর চিকিৎসা করা হয়। যদিও ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা অত্যন্ত জরুরী। সার্জারীর পর এই ধরনের জ্বরের কারণ সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, মূত্রনালীতে ইনফেকশন ইত্যাদি। তবে অনেক সময় নন-সার্জিক্যাল কারণেও, যেমন ভাইরাসের সংক্রমণ, সেপ্টেমসিয়া ইত্যাদিও, জ্বর আসতে পারে। স্টেন্ট বসানোর পর অনেক সময় স্টেন্টের কনট্রাস্ট মেটিরিয়ালের প্রতি রোগীর শরীরের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ায় জ্বর আসে।
হার্ট অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হৃদপেশিতে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করে। রোগী জীবনের ঝুঁকি কমে যায়। তবে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করানোর পরেও রোগীকে বেশ কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হয়। যেমন -
অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির ক্ষেত্রে রোগী কে সাধারণত অপারেশনের দিন বা তার পরের দিন হাসপাতেল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এই সময় -
স্টেন্ট বসানোর পর অত্যধিক সংবেদনশীলতার (টেন্ডারনেস) জন্য বুকে ব্যাথা করতে পারে। তবে এটা কিছুদিনের মধ্যেই কমে যায়। এই সময় ডাক্তারবাবুর মতামত নিয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। স্টেন্ট বসানোর জন্য অ্যার্টারি বা ধমনীতে ট্রমা তৈরি হতে পারে। এর কারন স্টেন্টের সাথে ধমনীর আঘাত বা ঘসা লাগা। যতক্ষণ না স্টেন্টটির সাথে রোগীর শরীর ধাতস্থ হচ্ছে ততক্ষণ এই রকম অস্বস্তি হতে পারে। এই ধরনের অস্বস্তি ব্যাথা সাধারণত বুকের একটা নির্দিষ্ট স্থানে হয়ে থাকে।
Written and Verified by:
Dr. Ratan Kumar Das is associated with BM Birla Heart Research Centre as a Director of CTVS. In the past, he has been associated with Hospitals like St. George Hospital in Sydney, Australia. His areas of interest lies in off-pump CABG with LIMA-RIMA Y, Mitral Valve repair, Minimally Invasive Valve Surgery, CABG and Paediatric Cardiac Surgery.
© 2024 BMB Kolkata. All Rights Reserved.