হার্ট ভালভ সার্জারির ঝুঁকি এবং রিকভারি
Home >Blogs >হার্ট ভালভ সার্জারির ঝুঁকি এবং রিকভারি

হার্ট ভালভ সার্জারির ঝুঁকি এবং রিকভারি

Summary

হার্ট ভাল্ভ সার্জারি হল হৃদরোগের একটি শল্যচিকিৎসা পদ্ধতি। আমাদের হৃদপিন্ডের চারটি ভাল্ভ -এর মধ্যে কোনটি সঠিকভাবে কাজ না করলে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়।

হার্ট ভাল্ভ সার্জারি

হার্ট ভাল্ভ সার্জারি হল হৃদরোগের একটি শল্যচিকিৎসা পদ্ধতি। আমাদের হৃদপিন্ডের চারটি ভাল্ভ -এর মধ্যে কোনটি সঠিকভাবে কাজ না করলে এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে কাজে লাগানো হয়। 

হার্টের চারটি ভাল্ভ হল - মাইট্রাল, ট্রাইকাসপিড, পালমোনারি এবং অ্যাওরটিক ভাল্ভ। প্রতিটি ভাল্ভ ফ্ল্যাপ মতো কাজ করে। মাইট্রাল এবং ট্রাইকাসপিড ভাল্ভ কে লিফলেট; অ্যাওরটিক এবং পালমোনারি ভাল্ভ কে কাস্প বলে। ভাল্ভের এই ফ্ল্যাপগুলি প্রতিটি হার্টবিটের সময় একবার খোলে এবং বন্ধ হয়। যখনভাল্ভ গুলি সঠিকভাবে খোলা বা বন্ধ হওয়ার কাজ করে না বা ভাল্ভে ফুটো থাকে তখন হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে শরীরে রক্তের প্রবাহ ব্যাহত হয়। 

হার্টের ভাল্ভ সার্জারিতে, একজন শল্য চিকিৎসক (সার্জন) ক্ষতিগ্রস্ত বা অসুস্থ ভাল্ভ মেরামত বা প্রতিস্থাপন করেন। হার্টের ভাল্ভ মেরামত বা প্রতিস্থাপনের জন্য অনেক রকমের অস্ত্রোপচারের পদ্ধতি প্রচলিত আছে যেমন - 

  • অ্যাওরটিক ভাল্ভ সার্জারি - ওপেন 
  • অ্যাওরটিক ভাল্ভ সার্জারি - মিনিমালি ইনভেসিভ (ন্যূনতম কাটাছেঁড়ার )
  • মাইট্রাল ভাল্ভ সার্জারি - ওপেন 
  • মাইট্রাল ভাল্ভ সার্জারি - মিনিমালি ইনভেসিভ


হার্টের ভাল্ভ সার্জারির প্রকৃতি কেমন হবে তা রোগীর বয়স, স্বাস্থ্য, হার্টের ভাল্ভের রোগের ধরন এবং রোগের তীব্রতা সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে।

হার্ট ভাল্ভ রোগের লক্ষণ:

হার্টের ভাল্ভের রোগে আক্রান্ত কিছু মানুষের অনেক বছর পর্যন্ত কোন লক্ষণ নাও থাকতে পারে। কিন্তু যখন লক্ষণ এবং উপসর্গ দেখা দেয়, তখন শরীরের নিম্নলিখিত অবস্থা গুলি প্রকাশ পেতে পারে: 

  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন।
  • স্টেথোস্কোপ দিয়ে পরীক্ষার সময় হুশিং শব্দ (whooshing) শোনা যায়।
  • বুক ব্যাথা।
  • পেট ফুলে যাওয়া (প্রধানত অ্যাডভান্সড ট্রাইকাসপিড রিগারজিটেশন এর ক্ষেত্রে)। 
  • ক্লান্তি।
  • শ্বাসকষ্ট, বিশেষ করে শুয়ে থাকা অবস্থায়। 
  • গোড়ালি এবং পায়ের ফোলা ভাব। 
  • মাথা ঘোরা।
  • মূর্ছা যাওয়া।

ভাল্ভ সার্জারির ঝুঁকি:

যে কোন সার্জারির মতো হার্ট ভাল্ভ সার্জারিরও ঝুঁকি আছে। সাধারণত বয়স্ক মানুষ দের এবং অপুষ্টি রোগীদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি বেশি। যেমন - 

  • সার্জারি সময় এবং পরে রক্তপাত।
  • রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। 
  • অস্ত্রপচারের জায়গায় সংক্রমণ।
  • পার্শ্ববর্তী ভাল্ভে সংক্রমণ।
  • নিউমোনিয়া।
  • সুস্থ ভাল্ভ কে প্রভাবিত করা।
  • অনিয়মিত হার্টের ছন্দ (অ্যারিদমিয়া)।
  • স্ট্রোক
  • মৃত্যু

হার্টের ভাল্ভ মেরামত বা পুনরুদ্ধার পদ্ধতি:

কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তাররা হার্টের ভালভ সার্জারির পরামর্শ দেন তখনই যখন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভালভের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা এবং সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। হার্টের ভালভ সার্জারির ধাপগুলো হল-

  • ভাল্ভে ফুটো থাকলে তাতে তাপ্পি দিয়ে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করা। 
  • অতিরিক্ত ভাল্ভ টিস্যু অপসারণ করা যাতে লিফলেট বা কাস্প শক্তভাবে বন্ধ হতে পারে।
  • স্ট্রাকচারাল সাপোর্ট মেরামত করার জন্য ভাল্ভ কে সাপোর্ট প্রদানকারী কর্ড গুলি প্রতিস্থাপন করা।
  • ভাল্ভের চারপাশে রিং কে শক্ত করা বা শক্তিশালী করা (অ্যানুলাস)। 

ভালভুলোপ্লাস্টি নামক একটি ভালভ মেরামতের পদ্ধতিতে সরু এবং সংকীর্ণ ভালভ খোলার চিকিত্সার জন্য হৃৎপিণ্ডে একটি দীর্ঘ, পাতলা টিউব (ক্যাথেটার) ঢোকানো জড়িত। এই ক্ষেত্রে, হার্ট সার্জন রোগীর বাহু বা কুঁচকিতে একটি ধমনীর মাধ্যমে একটি বেলুন সহ একটি পাতলা, নমনীয় টিউব (ক্যাথেটার) প্রবেশ করান। টিউবটি খারাপ ভালভের দিকে পরিচালিত হয়।

নির্দিষ্ট স্থানে ক্যাথেটার পৌঁছলে বেলুনটি ফোলানো হয়। এতে খারাপ ভাল্ভটি প্রসারিত হয়ে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। ডাক্তার তখন বেলুনটি ডিফ্লেট (চুপসিয়ে) করে ক্যাথেটার সমেত শরীরের বাইরে বের করে আনেন।

সচরাচর জিজ্ঞাস্য

 

ভাল্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কি হবে?

যদি হার্টের একটি বা একাধিক ভাল্ভ রোগাক্রান্ত হয়, তবে হৃৎপিণ্ড কার্যকরভাবে সারা শরীরে রক্ত ​​পাম্প করতে পারে না। পাম্প করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। এতে হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। এর ফলে হার্ট ফেইলিউর, হঠাৎ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (যখন হার্ট স্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়), এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

হার্টের ভাল্ভ রোগের চিকিৎসা কি?

হার্টের ভাল্ভ মেরামত বা প্রতিস্থাপনের জন্য সার্জারি বা শল্যপচার একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা। সার্জারির মাধ্যমে ভাল্ভে ফুটো, সঙ্কুচিত ভাল্ভ এবং আরো অন্য ভাল্ভ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা হয়।

হার্টের ভাল্ভের সমস্যা কি ওষুধ দিয়ে নিরাময় করা যায়?

শুধুমাত্র ওষুধ দিয়ে হার্টের ভাল্ভের রোগের সম্পূর্ণ নিরাময় করা সম্ভব নয়। এই ধরনের সমস্যায় অস্ত্রোপচার করা একটি সাধারণ বিষয়।

কত ঘন ঘন হার্ট ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করার দরকার হতে পারে?

একটি প্রতিস্থাপিত হার্ট ভাল্ভের আয়ুষ্কাল সাধারণত 25 বছর ধরা হয়। কিন্তু কিছু কিছু অবস্থায় 6 মাস বা এক বছরের মধ্যেও হার্ট ভাল্ভ প্রতিস্থাপন করতে হতে পারে।

Written and Verified by:

Dr. Ratan Kumar Das is the Director of Cardiothoracic & Vascular Surgery Dept. at BM Birla Heart Hospital, Kolkata, with over 20 years of experience. He specializes in off-pump CABG with LIMA-RIMA Y, minimally invasive valve surgery, mitral valve repair, and pediatric cardiac surgery.

Related Diseases & Treatments

Treatments in Kolkata

Cardiac Surgery Doctors in Kolkata

NavBook Appt.WhatsappWhatsappCall Now