ডায়রিয়া : উপসর্গ, কারণ, চিকিৎসা, ঔষধ, প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়
Home >Blogs >ডায়রিয়া : উপসর্গ, কারণ, চিকিৎসা, ঔষধ, প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়

ডায়রিয়া : উপসর্গ, কারণ, চিকিৎসা, ঔষধ, প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয়

Summary

আসুন আজ আমরা ডায়রিয়া রোগটি সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিই। ডায়রিয়া শব্দটির সাথে আমরা ছোটোবেলা থেকেই পরিচিত। সারা জীবনে একবারও ডায়রিয়া হয় নি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া ভার।

ডায়েরিয়া বা ডায়রিয়া – মূলত পেটের রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়।

ডায়রিয়া সম্পর্কে

আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত। ক্রান্তীয় অঞ্চলে যে দেশগুলো অবস্থিত সেই দেশের অধিবাসীদের মধ্যে ডায়রিয়ার প্রকোপ লক্ষ্য করার মত। মূলত ভারত, বাংলাদেশ,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফ্রিকার মত গরমের দেশগুলোতে এই রোগটিতে প্রতি বছর বহু মানুষ আক্রান্ত হন।

আসুন আজ আমরা ডায়রিয়া রোগটি সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নিই। ডায়রিয়া শব্দটির সাথে আমরা ছোটোবেলা থেকেই পরিচিত। সারা জীবনে একবারও ডায়রিয়া হয় নি এমন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া ভার।

ডায়েরিয়া বা ডায়রিয়া – মূলত পেটের রোগ। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে জল বেরিয়ে যায়। পাতলা মল, যা কখনো কখনো শ্লেষ্মাযুক্ত,সঙ্গে পেট ব্যাথা,গা গুলিয়ে ওঠা এই উপসর্গ গুলি দেখা যায়। একদিকে যেমন শুধু ডায়েরিয়া হতে পারে আবার কখনও কখনও তা অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব বমি, পেটে ব্যথা বা ওজন হ্রাস হওয়া। ডায়রিয়া সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হয় কয়েক দিনের বেশি স্থায়ী হয় না। কিন্তু যখন ডায়রিয়া কয়েক সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তখন বুঝতে হবে যে অন্য কোনো সমস্যা আছে। যেমন সেগুলো হতে পারে আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম )বা ক্রমাগত সংক্রমণ আইবিডি বা সিলিয়াক ডিজিজ অথবা অন্ত্রের প্রদাহ সহ অন্যান্য কঠিন ব্যাধি।

ডায়রিয়ার লক্ষণ

নিচের লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি দেখা গেলে ধরে নেওয়া হয় একজন ব্যক্তি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

  • পেট ফেঁপে থাকা।
  • পেটে খিঁচুনি বা ব্যথা অনুভূত হওয়া
  • বমি বমি ভাব।
  • বমি হওয়া।
  • জ্বর হওয়া। 
  • তরল জলের মত মল।কখনো কখনো ফ্যানা সৃষ্টি হয়।
  • মল আঁশটে দূর্গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।
  • মলে অনেকসময় রক্ত  দেখা যায়।
  • মলে শ্লেষ্মা বের হয়ে আসা।
  • ঘন ঘন মলত্যাগ।

ডায়রিয়ার জন্য ঘরোয়া প্রতিকার

ডায়ারিয়ার সবথকে বড় পথ্য হল ওআরএস- এর জল।দুপুরে ভাতের সঙ্গে পাতলা ডালের জল,পাতলা লিকার চা খেতে পারেন। আসলে ডায়েরিয়ায় দেহ থেকে প্রচুর জল বেরিয়ে যায় তাই জলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ঘন ঘন ওআরএস- এর জল খাওয়া দরকার।রাতের দিকে হালকা খাবার খাওয়া উচিত।

ডায়রিয়ায় কি খাবেন

ডায়রিয়া হলে জলের পরিমাণ বেশি আছে এ ধরনের খাবার বেশি খাওয়া দরকার। তরল জাতীয় খাবার যেমন ঝোল,জুস ইত্যাদি খান অবশ্যই প্রচুর জলপান করুন।আপনার মল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসাতে শুরু করলে ধীরে ধীরে সেমিসলিড এবং কম ফাইবারযুক্ত খাবার আহারে যোগ করুন।

ডায়রিয়া হলে কি খাবেন না

কফি এবং অ্যলকোহল পানকে পুরোপুরি বিদায় জানান।কোনো রকম মশলাদার রিচ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।গম এবং দুধের তৈরী খাবার এড়িয়ে চলুন।সোডা ক্র্যাকার, োস্ট ডিম না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ডায়রিয়া হওয়ার প্রধান কারণ

ডায়রিয়া অনেক কারণেই হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে-

  • পরজীবীর আক্রমণ যেগুলো খাবার বা জলের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
  • ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ।
  •  খাদ্য অসহিষ্ণুতা বা ফুড অ্যালার্জির জন্য কিছু খাবারের জিনিস হজম করতে না পারা।
  • ভাইরাসের সংক্রমণ।
  • খাবারে এলার্জি (যেমন সিলিয়াক ডিজিজ, গ্লুটেন এলার্জি)
  • ওষুধের প্রতিক্রিয়া।
  • অনেক সময় প্রচন্ড টেনশন থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে।

 

ডায়ারিয়া আসলে একটি আন্ত্রিক রোগ মূলত প্রদাহজনিত অন্ত্রের রোগ।আসুন একটু বিস্তারিত ভাবে এই বিষয়টি ওপর আলোকপাত করা যাক।

  •  নরওয়াক ভাইরাস (নরোভাইরাস নামেও পরিচিত), এন্টারিক অ্যাডেনোভাইরাস, অ্যাস্ট্রোভাইরাস, সাইটোমেগালোভাইরাস এবং ভাইরাল হেপাটাইটিস- এই ভাইরাস গুলোর দ্বারা শরীর আক্রান্ত হলে ডায়েরিয়া হয়। শৈশবে ডায়রিয়ার একটি সাধারণ কারণ হল রোটাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়া। 
  •  দূষিত খাবার বা পানীয় জলের মাধ্যমে প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া যেমন ই-.কোলাই দেহে প্রবেশ করার ফলে ডায়রিয়া হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ভ্রমণ করার সময়, ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট ডায়রিয়াকে প্রায়শই ভ্রমণকারীর ডায়রিয়া বলা হয়। কলোরিয়ডস ডিফিসাইল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ডায়রিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্সের পরে বা হাসপাতালে ভর্তির সময় ঘটতে পারে।
  •  অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। উদাহরণ স্বরুপ অ্যান্টিবায়োটিকের কথা উল্লেখ করা যায়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে সংক্রমণ আটকানোর পাশাপাশি বেশ কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে ফেলে। এর দ্বারা অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক ভারসাম্য ব্যাহত হয়, যার ফলস্বরূপ ডায়রিয়া বা সি. ডিফ-এর মতো সংক্রমণ হয়। ক্যান্সার বিরোধী ওষুধ এবং ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিডগুলি অনেকক্ষেত্রে ডায়েরিয়া সৃষ্টি করে।
  •  ল্যাকটোজ হল দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যে পাওয়া একপ্রকারের শর্করা। যাদের ল্যাকটোজ হজম করতে অসুবিধা হয় তাদের দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর ডায়রিয়া হয়। দেখা যায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা বাড়তে পারে। কারণ হিসাবে বলা যায় যে সমস্ত এনজাইম ল্যাকটোজ হজম করতে সাহায্য করে,বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের ক্ষরণের মাত্রা কমতে থাকে।
  •  ফ্রুক্টোজ হল একধরনের শর্করা যা প্রাকৃতিকভাবে ফল এবং মধুতে পাওয়া যায়। এটি কখনও কখনও পানীয়গুলিতে মিষ্টি হিসাবে যোগ করা হয়। ফ্রুক্টোজ যাদের হজম করতে সমস্যা হয় তাদের ডায়রিয়া হতে পারে।
  •  সর্বিটাল, ইরিথ্রিটল এবং ম্যানিটল এগুলো হল কৃত্রিম সুইটেনার, যেগুলো অশোষণযোগ্য শর্করা। এগুলি সাধারণত চুইংগাম এবং অন্যান্য চিনি-মুক্ত পণ্যগুলিতে পাওয়া যায়। কিন্তু দেখা গেছে কিছু মানুষের এগুলো থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে।
  • গলব্লাডার বা অন্ত্রের আংশিক অস্ত্রোপচার বা অপসারণের পর কখনও কখনও ডায়রিয়া হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়ার অন্যান্য অনেক কারণ রয়েছে, যেমন আইবিএস, মাইক্রোস্কোপিক কোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, সিলিয়াক ডিজিজ এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ।

  •  নরওয়াক ভাইরাস (নরোভাইরাস নামেও পরিচিত), এন্টারিক অ্যাডেনোভাইরাস, অ্যাস্ট্রোভাইরাস, সাইটোমেগালোভাইরাস এবং ভাইরাল হেপাটাইটিস- এই ভাইরাস গুলোর দ্বারা শরীর আক্রান্ত হলে ডায়েরিয়া হয়। শৈশবে ডায়রিয়ার একটি সাধারণ কারণ হল রোটাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়া। 
  •  দূষিত খাবার বা পানীয় জলের মাধ্যমে প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া যেমন ই-.কোলাই দেহে প্রবেশ করার ফলে ডায়রিয়া হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ভ্রমণ করার সময়, ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট ডায়রিয়াকে প্রায়শই ভ্রমণকারীর ডায়রিয়া বলা হয়। কলোরিয়ডস ডিফিসাইল ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট ডায়রিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্সের পরে বা হাসপাতালে ভর্তির সময় ঘটতে পারে।
  •  অনেক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। উদাহরণ স্বরুপ অ্যান্টিবায়োটিকের কথা উল্লেখ করা যায়। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে সংক্রমণ আটকানোর পাশাপাশি বেশ কিছু ভালো ব্যাকটেরিয়াকেও ধ্বংস করে ফেলে। এর দ্বারা অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার স্বাভাবিক ভারসাম্য ব্যাহত হয়, যার ফলস্বরূপ ডায়রিয়া বা সি. ডিফ-এর মতো সংক্রমণ হয়। ক্যান্সার বিরোধী ওষুধ এবং ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত অ্যান্টাসিডগুলি অনেকক্ষেত্রে ডায়েরিয়া সৃষ্টি করে।
  •  ল্যাকটোজ হল দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত দ্রব্যে পাওয়া একপ্রকারের শর্করা। যাদের ল্যাকটোজ হজম করতে অসুবিধা হয় তাদের দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পর ডায়রিয়া হয়। দেখা যায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা বাড়তে পারে। কারণ হিসাবে বলা যায় যে সমস্ত এনজাইম ল্যাকটোজ হজম করতে সাহায্য করে,বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের ক্ষরণের মাত্রা কমতে থাকে।
  •  ফ্রুক্টোজ হল একধরনের শর্করা যা প্রাকৃতিকভাবে ফল এবং মধুতে পাওয়া যায়। এটি কখনও কখনও পানীয়গুলিতে মিষ্টি হিসাবে যোগ করা হয়। ফ্রুক্টোজ যাদের হজম করতে সমস্যা হয় তাদের ডায়রিয়া হতে পারে।
  •  সর্বিটাল, ইরিথ্রিটল এবং ম্যানিটল এগুলো হল কৃত্রিম সুইটেনার, যেগুলো অশোষণযোগ্য শর্করা। এগুলি সাধারণত চুইংগাম এবং অন্যান্য চিনি-মুক্ত পণ্যগুলিতে পাওয়া যায়। কিন্তু দেখা গেছে কিছু মানুষের এগুলো থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে।
  • গলব্লাডার বা অন্ত্রের আংশিক অস্ত্রোপচার বা অপসারণের পর কখনও কখনও ডায়রিয়া হতে পারে।
  • দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়ার অন্যান্য অনেক কারণ রয়েছে, যেমন আইবিএস, মাইক্রোস্কোপিক কোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, সিলিয়াক ডিজিজ এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ।

কি ধরনের খাবার থেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যেতে পারে?

  • অস্বাভাবিক মাত্রায় কফি পান।
  • অত্যধিক চিনি মিশ্রিত জল। চিনির জল  অন্ত্রে ইলেক্ট্রোলাইট বের করতে উদ্দীপিত করে, যা অন্ত্রের গতিবিধি শিথিল করে দেয়।
  • দুগ্ধজাত খাবার।
  • গ্লুটেন জাতীয় খাবার। সাধারণত ময়দার তৈরী খাবারে থাকে।
  • তেলেভাজা এবং চর্বিযুক্ত খাবার।
  • প্রচুর ঝালযুক্ত মশালাদার খাবার

কি ধরণের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়?

ডায়রিয়া ডিহাইড্রেশনের কারণ, যার সময়মতো চিকিৎসা না করলে জীবনহানিও হতে পারে। দুর্বল ব্যক্তি, বয়স্ক, ও শিশুর জন্য ডিহাইড্রেশন বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। ডিহাইড্রেশনের গুরুতর লক্ষণ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।

এখন জেনে রাখুন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের যে লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হয়-

  • অত্যধিক তৃষ্ণা।
  • শুষ্ক মুখ বা ত্বক,মুখের ভিতর শুকিয়ে যাওয়া।
  • সামান্য বা কোন প্রস্রাব না হওয়া।
  • ক্লান্তি।
  • দুর্বলতা, মাথা ঘোরা বা হালকা মাথাব্যথা।
  • গাঢ় হলুদ রঙের প্রস্রাব।

আবার শিশু এবং ছোট বাচ্চাদের মধ্যে ডিহাইড্রেশনের যে ইঙ্গিতগুলো লক্ষ্য করা যায়- 

  • তিন বা তার বেশি ঘন্টার মধ্যে একটিও ডায়াপার না ভেজা।
  • শুকনো মুখ এবং জিহ্বা, বারবার জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট চাটা।
  • দেহের তাপমাত্রা 102 ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার উপরে ।
  • অশ্রুবিহীন কান্না।
  • তন্দ্রা, প্রতিক্রিয়াহীনতা বা বিরক্তির প্রকাশ।
  • পেট, চোখ বা গাল ঢুকে যাওয়া।

কখন আপনি ডাক্তারবাবুর কাছে যাবেন?

আপনি যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হন এবং নিচের সমস্যগুলো অনুভব করেন তবে দেরি না করে অবশ্যই একজন ডাক্তারের কাছে যান।

  • আপনার শরীর যদি জলশূন্য হয়ে পড়ে।

 

  • যদি প্রচন্ড পেট বা মলদ্বারে ব্যথা অনুভব করেন।

 

  • আপনার যদি রক্তাক্ত বা কালো মল ত্যাগ হয়।

 

  • আপনার দেহের তাপমাত্রা  102 ডিগ্রী ফারেনহাইটের উপরে উঠে যায়।

 

  • একটানা 3 দিন ধরে চলতে থাকা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কিছু লোক অনিচ্ছাকৃতভাবেই প্রতিদিন 1 বা 2 পাউন্ড ওজন হারাতে পারে।গবেষণা অনুসারে, ডায়রিয়া একটি সাধারণ হজম সমস্যা যা পৌষ্টিকপদার্থের শোষণের ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় যার কারণে ওজন হ্রাস ঘটে।

বেড়াতে গিয়ে ডায়রিয়া হলে-

প্রায়শই দেখা যায় বাইরে বেড়াতে গিয়ে ডায়েরিয়ায় অনেক ভ্রমনকারী আক্রান্ত হয়ে পরেন।সেক্ষেত্রে-

আপনার ডাক্তারবাবুর পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সহ অন্যান্য ওষুধের একটি প্যাক তৈরী করে আগে থেকেই সঙ্গে রাখুন।এর সাথে ওআরএস অবশ্যই রাখবেন।আর প্রয়োজনে সেখানকার লোকাল কোনো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। 

শিশুদের ডায়রিয়ার চিকিৎসা

ডায়রিয়ার ফলে শিশুদের, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের শরীর থেকে দ্রুত জল বেরিয়ে যেতে পারে।তাই 24 ঘন্টার মধ্যে যদি আপনার সন্তানের ডায়রিয়ার উন্নতি না হয় তাহলে আর দেরি না করে চটজলদি আপনার সন্তানের ডাক্তারবাবুকে কল করুন।নিচের লক্ষণগুলো দেখা গেলে একদম ফেলে রাখা ঠিক না।

  • দেহ জলশূন্য হয়ে গেলে
  • দেহের তাপমাত্রা 102 ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তার বেশি বেড়ে গেলে।
  • রক্তাক্ত বা কালো রঙের মলত্যাগ হলে। 
  • শিশু নেতিয়ে পড়লে 

টিকাদান

  • শিশুদের ভাইরাল ডায়রিয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল রোটোভাইরাস, দুটি অনুমোদিত ভ্যাকসিনের মধ্যে একটি দিয়ে আপনি আপনার সন্তানকে এর হাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারেন। তবে আপনার শিশুর টিকা দেওয়ার বিষয়ে সর্বদা আপনার শিশুর ডাক্তারবাবুর পরামর্শ মেনে চলুন। 

সংক্রামক ডায়রিয়া প্রতিরোধের সাধারণ উপায়

সংক্রামক ডায়রিয়ার বিস্তার রোধ করতে আপনার নিম্নলিখিত স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলা প্রয়োজন- 

  • হাইজিনের ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে বার বার হাত ধুতে হবে। খাবার তৈরি করার আগে এবং পরে আপনার হাত ভালভাবে ধুয়ে নিতে হবে। টয়লেট ব্যবহার করার পর , ডায়াপার পরিবর্তন করার আগে এবং পরে, হাঁচি, কাশি এবং নাক ঝাড়ার পরে অবশ্যই আপনার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
  • হাতে সাবান লাগিয়ে কমপক্ষে 20 সেকেন্ডের জন্য রাখুন।এরপর হাত দুটি ঘষে একবার ধুয়ে নেওয়ার পর পুনরায় আরও কমপক্ষে 20 সেকেন্ডের জন্য আপনার হাত দুটি সাবান দিয়ে একসঙ্গে ঘষে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন। 
  • সিঙ্কে যেতে না পারলে প্রয়োজনে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে হাতের চেটোতে বেশ কয়েক ফোঁটা স্যানিটাইজার নিয়ে হাতের সামনে পিছন- উভয় পাশে ভালোভাবে ঘষে লাগিয়ে আপনার হাত জোড়া জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া নিশ্চিত করুন। আর এমন একটি পণ্য ব্যবহার করুন যাতে কমপক্ষে 60% অ্যালকোহল থাকে।

ডায়রিয়া সারতে কত দিন লাগতে পারে

ডায়রিয়া হল স্বভাবিকের তুলনায় বেশি ঘন ঘন পাতলা মলত্যাগ।কখনো কখনো এর প্রকোপ খুব বেশি হয়ে পড়লেও সেরকম ভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, যদি না এটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে। যদিওএটি বেশ বিরক্তিকর এবং অপ্রীতিকর ঘটনা।তবে একটু সচেতনতা, সুষ্ঠু স্বাস্থ্যবিধি এবং বেশ কিছু সাধারণ ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চললে তা সাধারণতকয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহেরমধ্যেই ঠিক হয়ে যায়।তবে এর বেশি সময় ধরে থাকলে অবিলম্বে ডাক্তারি সহায়তা নেওয়া আবশ্যক। 

আমাদের মতো গরম দেশে ডায়রিয়া খুবই সাধারণ একটি রোগ। অতএব, এই বিষয়ে অপ্রয়োজনীয় চাপ নেবেন না, তবে যদি এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে অবিলম্বে একজন গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। শিশুদের ডায়রিয়া হলে সাথে সাথে ডাক্তারবাবুকে জানান এবং তার পরামর্শ মত চলুন।স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারবাবুর পরামর্শ নিলে খুব সহজেই এর হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

Written and Verified by:

Dr. Partha Pratim Bose

Dr. Partha Pratim Bose

Consultant - Gastroenterology Exp: 36 Yr

Gastro Sciences

Book an Appointment

Similar Blogs

पेट में जलन: कारण, लक्षण और इलाज

पेट में जलन: कारण, लक्षण और इलाज

read more
Complex Surgery Restores Life for Patient with Pancreatic Cancer History

Complex Surgery Restores Life for Patient with Pancreatic Cancer History

read more
बवासीर के मस्से सुखाने के उपाय

बवासीर के मस्से सुखाने के उपाय

read more
लिवर में सूजन: लक्षण, कारण, और घरेलू उपचार

लिवर में सूजन: लक्षण, कारण, और घरेलू उपचार

read more

View more

Book Your Appointment TODAY

Treatments in Kolkata

Gastro Sciences Doctors in Kolkata

NavBook Appt.WhatsappWhatsappCall Now