বমি বমি ভাব, বমি হওয়া এবং মুখের স্বাদ বদলে যাওয়া — এগুলো প্রেগন্যান্সির প্রথম দিকের লক্ষণ। তবে আরও কিছু লক্ষণ আছে, যা গর্ভধারণের ইঙ্গিত দিতে পারে। আপনি যদি গর্ভাবস্থার শুরুর লক্ষণগুলো জানতে চান, তাহলে এই ব্লগটি আপনার সাহায্য করবে।
মা হওয়ার সুখ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুখ। প্রেগন্যান্সির সময় একজন নারীর শরীরে অনেক শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তনগুলোই প্রেগন্যান্সির প্রথম দিকের লক্ষণ, যা প্রতিটি নারীর জানা জরুরি।
গর্ভধারণ নিয়ে যেকোনো সমস্যার জন্য আমরা আপনাকে পরামর্শ দেব যে, আমাদের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং সব ধরনের জটিলতা দূর করুন। আপনি যদি প্রেগন্যান্সির শুরুর লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে এই ব্লগ আপনার জন্যই।
প্রেগন্যান্সির সময় নারীদের শরীরে অনেক হরমোনজনিত পরিবর্তন হয়। এর মধ্যে—
প্রেগন্যান্সির প্রথম কয়েক দিনে ডিম্বাণু শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিত হয়, ফলে হালকা রক্তপাত ও পেট ব্যথা হতে পারে। এই সময়ে সুস্থ প্রেগন্যান্সির জন্য নারীদের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এতে মা ও শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
পিরিয়ড মিস হওয়া (Missed Period)
বারবার প্রস্রাব হওয়া (Frequent Urination)
ক্লান্তি ও দুর্বলতা (Fatigue)
বমি বমি ভাব ও বমি (Nausea & Vomiting)
স্তনে পরিবর্তন (Breast & Nipple Changes)
পেট ব্যথা বা ফোলা (Cramping & Bloating)
মুড পরিবর্তন (Mood Swings)
গর্ভাবস্থার অগ্রগতির সাথে সাথে এর লক্ষণগুলি লক্ষণীয় হতে শুরু করে। উদাহরণস্বরূপ, গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে, স্তন ফুলে যাওয়া, ব্যথা এবং স্তনবৃন্তের রঙের পরিবর্তনের মতো লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা যায়। দ্বিতীয় মাসে, ক্ষুধা, খাওয়ার পছন্দ এবং অভ্যাসের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। আসুন একটি টেবিলের সাহায্যে প্রতি মাসে পরিলক্ষিত লক্ষণগুলি বোঝার চেষ্টা করি।
মাস |
লক্ষণসমূহ |
প্রথম |
স্তনের ফোলা, ক্লান্তি, বমি। |
দ্বিতীয় |
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন। |
তৃতীয় |
ওজন বৃদ্ধি, পেটের আকার বৃদ্ধি। |
চতুর্থ |
ভ্রূণের নড়াচড়া, মুখের উজ্জ্বলতা। |
পঞ্চম |
ভ্রূণের নড়াচড়া আরও শক্তিশালী, ক্লান্তি বৃদ্ধি। |
ষষ্ঠ |
কিডনির ব্যথা, শ্বাসকষ্ট। |
সপ্তম |
নিম্ন পেট ব্যথা, হাত-পায়ে ফোলা। |
অষ্টম |
অস্বস্তি, শারীরিক নড়াচড়া। |
নবম |
নিয়মিত ডাক্তার পরিদর্শন। |
গর্ভধারণের লক্ষণ অনেক সময় পিরিয়ডের মতো হতে পারে। তাই নিশ্চিত হতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
নিয়মিত সাইকেলে প্রথম দিন থেকেই টেস্ট করতে পারেন। অনিয়মিত হলে ৭–১০ দিন অপেক্ষা করুন।
সাধারণত গর্ভধারণের ৬–৪১ দিনের মধ্যে। কিছু নারীর ক্ষেত্রে ২–৩ সপ্তাহ পরে।
ভ্রূণের বৃদ্ধি শুরু হয়, আকার বিনের দানার মতো। অঙ্গ ও টিস্যুর গঠন শুরু হয়।
না। পিরিয়ড মানে জরায়ুর আস্তরণ ঝরে পড়া, যা গর্ভাবস্থায় হয় না।
হ্যাঁ, পিরিয়ড চলাকালীন বা পরেই অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক হলে।
ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনে ভ্রূণ গঠিত হয়, যা জরায়ুতে বৃদ্ধি পায়।
হ্যাঁ, কিছু লক্ষণ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।
প্রথমে হোম টেস্ট, তারপর পজিটিভ হলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ।
সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পানি, ভারী কাজ এড়ানো, হালকা ব্যায়াম।
ওভুলেশনের সময় (শেষ পিরিয়ডের ১০–১৪ দিন পরে)।
HCG টেস্ট — বাড়িতে কিট দিয়ে বা ব্লাড টেস্টে।
পিঠ সোজা, কাঁধ রিল্যাক্স, পা মাটিতে সমানভাবে রাখা।
হ্যাঁ, যদি ডাক্তার কোনো সমস্যা না বলেন।
কলা, কমলা, আপেল, জ্যামুন — তবে কাঁচা বা না-ধোয়া ফল এড়িয়ে চলুন, পেঁপে ও আনারস সীমিত পরিমাণে।
প্রতিদিন অন্তত ৮–১২ গ্লাস (২–৩ লিটার), গরমে বা কাজের সময় বেশি।
Written and Verified by:
Dr. Parnamita Bhattacharya is a Senior Consultant in Obstetrics & Gynaecology Dept. at CMRI, Kolkata with over 20 years of experience. She specializes in high-risk pregnancy care, gynae laparoscopy, urogynecology, fertility management, and treatment of endometriosis & uterine fibroids.
Similar Obstetrics and Gynaecology Blogs
Book Your Appointment TODAY
© 2024 CMRI Kolkata. All Rights Reserved.