ডেঙ্গু এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। লক্ষণগুলোর মধ্যে হঠাৎ জ্বর, মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীর ব্যথা ও প্লেটলেট কমে যাওয়া উল্লেখযোগ্য। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে জটিলতা হতে পারে। তাই মশা থেকে সুরক্ষা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাই প্রধান প্রতিরোধ।
বর্ষা শুরু হলেই ডেঙ্গু জ্বরের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এই সময়ে ডেঙ্গুর মশা খুব বেশি সক্রিয় হয় এবং এর কামড় থেকে ডেঙ্গু জ্বর হয়। ডেঙ্গু একটি গুরুতর অসুখ, যার ফলে প্রচণ্ড জ্বর, শরীর ব্যথা, গাঁটে ব্যথা ও শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি হয়। এতে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। সাধারণ জ্বরের তুলনায় ডেঙ্গু অনেক বিপজ্জনক, কারণ এর মৃত্যুহার প্রায় ১.৩%। সময়মতো চিকিৎসা নিলে শরীরে লাল রক্তকণিকা (Red Blood Cells) কমে যাওয়া রোধ করা যায় এবং অনেক জটিলতা থেকে বাঁচা যায়।
ডেঙ্গু জ্বর ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়, যা এডিস মশার (Aedes mosquito) কামড়ে ছড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এটিকে বড় ধরনের রোগের তালিকায় রেখেছে। ডেঙ্গু বেশি দেখা যায় আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।
ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪ ধরন আছে — DENV-1, DENV-2, DENV-3, DENV-4। যদি মশা কোনো আক্রান্ত মানুষকে কামড়ায়, ভাইরাস মশার শরীরে প্রবেশ করে। পরে সেই মশা যখন কোনো সুস্থ মানুষকে কামড়ায়, তখন ভাইরাস রক্তে ঢুকে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
এডিস এজিপ্টি মশা ডেঙ্গু ছড়ায়। আক্রান্ত মানুষকে কামড়ালে ভাইরাস মশার শরীরে যায়, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ হয় না। ভাইরাস সক্রিয় হতে ৮–১২ দিন লাগে। এরপর মশা সুস্থ কাউকে কামড়ালে ভাইরাস তার রক্তে ঢুকে যায় এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
ডেঙ্গুতে প্লেটলেটসের সংখ্যা ওঠা-নামা করে। সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের প্লেটলেটস ১.৫–৪ লাখ ইউনিট হওয়া উচিত। ১ লাখের নিচে নেমে গেলে তা বিপদের লক্ষণ।
ডেঙ্গু মশার কামড়ের ৪–৬ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়, যা ১০–১২ দিন থাকে —
এসব হলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান।
ডেঙ্গু শনাক্তে রক্ত পরীক্ষা হয়, যাতে ভাইরাসের অ্যান্টিবডি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাই হয়। দেরি হলে লিভার ফাংশন টেস্ট (LFT), কিডনি ফাংশন টেস্ট (KFT), এক্স-রে, ইসিজি, আল্ট্রাসাউন্ড ইত্যাদি করানো হয়।
ডেঙ্গুর জন্য নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ নেই। চিকিৎসা মূলত লক্ষণ অনুযায়ী হয় —
ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে বাঁচা সবচেয়ে জরুরি। আক্রান্ত হলে শরীর ঢেকে রাখুন, পেঁপে পাতা, গিলয়, ছাগলের দুধ ইত্যাদি খেতে পারেন। সুষম খাদ্য, ব্যায়াম ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডেঙ্গু ও অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়।
সাধারণত ৫–৭ দিনে, কিন্তু কখনও ১০ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
উচ্চ জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশি ব্যথা, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, ত্বকে লাল দাগ, বমি, পাতলা পায়খানা।
১.৫–৪ লাখ ইউনিট স্বাভাবিক, ১ লাখের নিচে বিপজ্জনক।
পেঁপে পাতা, ছাগলের দুধ, গিলয় ইত্যাদি উপকারী।
ঝাল-মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুড, নন-ভেজ, কফি, অ্যালকোহল, সিগারেট।
উচ্চ জ্বর (১০৪°F), মাথা ব্যথা, গাঁট-পেশি ব্যথা, ক্লান্তি, বমি, ত্বকে লাল দাগ, রক্তপাত।
না, এটি সরাসরি একজন থেকে আরেকজনে ছড়ায় না। শুধুমাত্র আক্রান্ত এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়।
বিশ্রাম নিন, বেশি পানি পান করুন, প্যারাসিটামল নিন, পেঁপে পাতা, ডালিম বা জামের রস খান।
Written and Verified by:
Dr. Rajarshi Sengupta is a Consultant in Internal Medicine Dept. at CMRI, Kolkata, with over 23 years of experience. He specializes in the management of infectious diseases such as dengue, malaria, typhoid, and diphtheria, with a strong focus on patient care and immunizations.
Similar Internal Medicine Blogs
Book Your Appointment TODAY
© 2024 CMRI Kolkata. All Rights Reserved.